মেকানিক্যাল টেকনোলজি
সভ্যতার বিবর্তনের সাথে মেকানিক্যাল টেকনোলজির একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। চাকা আবিস্কারের সাথে সাথে সভ্যতার বিবর্তনের গতি সঞ্চার হয়। স্টীম ইঞ্জিন আবিস্কার উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় এক বিপ্লব সাধন করে। ইলেক্ট্রনিক যুগে প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত মেকানিক্যাল টেকনোলজিই বিশ্ব সভ্যতাকে পূর্ণতা দান করে এবং আজ পর্যন্ত তার গুরুত্ব কোন অংশে কমেনি। এজন্য মেকানিক্যাল টেকনোলজি সকল টেকনোলজির মাতা হিসেবে আখ্যায়িত হয়। সকল প্রকার ধাতু, রাবার, প্লাস্টিক, কাঁচ তৈরীর ক্ষেত্রগুলো মেকানিক্যাল টেকনোলজির আওতাভুক্ত। কল-কারখানার মেশিন, গাড়ীর ইঞ্জিনসহ সকল প্রকার কল-কব্জা তৈরীর পরিকল্পনা, ডিজাইন এবং প্রসেস ইত্যাদি কাজ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ করে থাকে। সরকারী, বেসরকারী ও আধা-সরকারী এবং এনজিও সমূহে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গাড়ী নির্মান কারখানা, পাওয়ার প্লান্ট, সারকারখানা, টেলিযোগাযোগ, স্টীল মিল, জুট মিল, কটন মিল, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে মেকানিক্যাল ডিপ্লোমাগণ সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, কোন কোন ক্ষেত্রে এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রাথমিক নিযুক্তি পেয়ে থাকে। এছাড়াও বিদেশে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা গ্র্যাজুয়েটদের বিস্তৃত কর্মক্ষেত্র রয়েছে। মেকানিক্যাল টেকনোলজির প্রধান পাঠ্য বিষয়সমূহঃ এ্যাপ্লাইড মেকানিক্স, থার্মোডাইনামিক্স, মেট্রোলজি, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেস, প্রোডাকশন প্লানিং এন্ড কন্ট্রোল, ওয়েল্ডিং, ফাউন্ড্রি এন্ড প্যাটার্ণমেকিং, মেটালার্জি এন্ড হিট ট্রিটমেন্ট, মেশিন সপ প্র্যাক্টিস, মেশিন ডিজাইন, স্ট্রেংথ অব ম্যাটেরিয়ালস্ ইত্যাদি। আত্ম-কর্মসংস্থানের একটি উত্তম উপায় হিসেবে এ টেকনোলজিকে ধারণ করা যেতে পারে।
মেকালিক্যাল টেকনোলজির শপ ও ল্যাব সমূহ ঃ
১। মেশিন শপ
২। ওয়েল্ডিং শপ
৩। মেটাল শপ
৪। ফাউন্ড্রি শপ
৫। টেস্টিং ল্যাব